একই সারিতে মুখোমুখি হলেও কোনো কথা হয়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের। সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকা আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে পিটার হাসকে অন্যত্র সরে যেতে দেখা যায়। আবার তিনি ফিরে আসার আগেই প্রস্থান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে ‘মিট এন্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিজয় দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অনুষ্ঠানের মূল ভেন্যুতে পৌঁছান। সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও তাঁর সাথে আলাপ করতে দেখা যায়নি। বরং পিটার হাস জার্মান রাষ্ট্রদূতসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করছিলেন।
৩টা ৪৮ মিনিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সকলের উদ্দেশে বলেন, অনেকদিন ধরে বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধির সাথে আমাদের কোনো সাক্ষাৎ ছিল না। কারণ আমরা অনেকদিন ধরেই নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলাম। তাই এই অনুষ্ঠানটি মূলত সবার সাথে সাক্ষাৎ করা আর আনন্দ করার জন্য আয়োজন করা।
এই বক্তব্য শেষ হবার পরপরই তিনি সারিবদ্ধ হয়ে থাকা অতিথিদের সাথে আলাপ করতে থাকেন। ৩টা ৫২ মিনিটের সময় তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সারিতে আসলে সেখান থেকে পিটার হাসকে একটু দূরে সরে যেতে দেখা যায়। এর পরপরই পিটার হাস ফিরে আসলেও ততক্ষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অন্য সারিতে চলে যান।
সাক্ষাৎপর্ব শেষে প্রীতিভোজের সময় তাদের একসাথে দেখা যায়নি। বরং ৩টা ৫৬ মিনিটে পিটার হাস অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান।
এদিকে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিষয় আমাদের কোনো চিন্তা নেই। আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে। আমাদের স্বপক্ষে যারা এসেছে তারা সবাই বলেছে যে, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অনেক আনন্দিত যে, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন করেছি। জনগণ তাদের রায় দিয়েছে। এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমাদের আর কিছু দরকার নাই।
এই আয়োজনে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের সারাহ কুক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটাস্কি, জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টাসহ ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।