পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’। অথচ আসামির বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ের আয়োজন চলছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে সিলেটের জালালাবাদ থানার মানসীনগর গ্রামে। যার বিয়ের আয়োজন চলছে, তার নাম জসিম উদ্দিন।
“আসামির বিয়ের বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই”
- মিজানুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
জালালাবাদ থানা, সিলেট
গতকাল সোমবার (২৭ মে) দুপুরে যাত্রীর বিশাল বহর নিয়ে কনের বাড়ি যান বর জসিম উদ্দিন। এর আগে রোববার রাতে তার নিজ বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানও হয়।
গত ১৭ মে এক সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ মিয়া বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা করেন। এতে ২২ জনের নামোল্লেখ করে আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। জানা গেছে, জসিম উদ্দিন এই মামলার ১৮ নম্বর আসামি।
তবে কি পুলিশ ইচ্ছা করেই আসামি ধরছে না? নাকি গাফেলতি? নাকি পুলিশকে ম্যানেজ করে আসামি দেদারসে বিয়ের আয়োজনে ব্যস্ত?- এমন হাজারো প্রশ্ন এলাকাবাসীর। আসামির বিয়ের বিষয়টি মামলার বাদী পুলিশকে জানিয়েছেন। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে পুলিশ।
মামলার বাদী সৈয়দ মিয়া বলেন, “আমি গত রাতে বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানাই। এরপর থেকেই ওই কর্মকর্তা ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। গতকাল থেকে এই আসামির বিয়েতে অন্যান্য আসামিরাও গেছেন। বিষয়টি একাধিকবার পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেদিকে কর্ণপাত করছে না তারা।”
এ সময় মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, “গতকাল সোমবার দুপুরে আসামি বর যাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি চলে যাওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে জানান, আসামি ধরতে অভিযানে যাচ্ছেন তিনি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন বলেন, “মামলার পর একাধিকবার আসামিদের ধরতে গেছি। কিন্তু তাদের পাইনি। (মঙ্গলবার) রাতে আবার অভিযানে যাবো।”
এদিকে আসামিরা পুলিশকে ম্যানেজ করেছে কিনা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে এমন প্রশ্ন করা হলে ক্ষেপে যান তিনি। ওসি বলেন, “আসামির বিয়ের বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।”