পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ উদ্ধার করার ক্ষমতা নেই বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার। তাই ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধারের কাজ করছে জাহাজটি। ফেরি উদ্ধারের কাজ এখনো শুরু হয়নি। অন্যদিকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবির (৩৯)।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী রজনীগন্ধা ফেরিটি টার্মিনাল-৫ এর কাছে ডুবে যায়।
উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার পক্ষে ২৫০ টন ওজনের ওই ফেরি উদ্ধারের ক্ষমতা নেই জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে একটি কাভার্ডভ্যান এবং রাত ৮টার দিকে একটি ট্রাক উদ্ধার করা সম্ভব হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়া আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’-এর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে ট্রাকের চালক, সহকারী ও ফেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২১ জন ছিলেন। ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবির ছাড়া বাকি সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেরি ডুবির ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসি দুটি কমিটি গঠন করেছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার জানান, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।