সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারাইয়াছে— এমন প্রশ্ন তুলেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘কোথায় যেন একজন বলেছেন, কবি তুমি পথ হারাইয়াছো; তেমনি অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারাইয়াছো— সে প্রশ্ন আমাদের মনে এখন বড়ভাবে আসছে। এর কারণ এখন দেশে রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনাবলি ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া।’
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’র আনুষ্ঠানিক সূচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সংকট চলছে। দেশের ওপর দিয়ে একটি ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ঝড় আসলে প্রয়োজন হয় আমার সম্পদগুলো রক্ষা করা। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, চেতনা রক্ষা করা ছিল এ (অন্তর্বর্তী) সরকারের প্রধান কাজ। সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর মানুষের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা ছিল সেটা এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। সরকার অনেকগুলো কমিশন, টাস্কফোর্স, কমিটি করেছে, সেখানে শ্বেতপত্র রচনায় আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে প্রান্তিক, সংখ্যালঘু ও অসুবিধাগ্রস্থ মানুষের কথা সেভাবে আসেনি। সরকার যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা করছে সেখানেও এসকল মানুষের কথা আসেনি। প্রান্তিক মানুষের আকাঙ্ক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি। তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কমিটি-কমিশনের আকাঙ্ক্ষার অভাব নাকি সক্ষমতার অভাব, নাকি এখানে বড় ধরনের স্বার্থের সংঘাত জড়িত? এখানে বড় প্রশ্ন, কে যেন বলেছিল কবি তুমি কি পথ হারাইয়াছো। অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারাইয়াছে— এখন এ প্রশ্ন আমাদের মনে আসছে।’
রিফর্ম ওয়াচের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারিগরি সমাধানের মাধ্যমে একটি সমতাভিত্তিক, জবাবদিহিতার মাধ্যমে নাগরিক চাহিদা পূরণে আমাদের এ প্রয়াস।’
রিফর্ম ওয়াচের সূচনা অনুষ্ঠানে সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)–এর সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।