হবিগঞ্জের মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রত্নবস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব প্রত্নবস্তুর মধ্যে জমিদারদের ব্যবহৃত দৃষ্টিনন্দন খাট-পালং, মুঘল আমলের তলোয়ার, পোলাওদানি, কুপিবাতি প্রভৃতি রয়েছে।
জানা গেছে, এসব মূল্যবান প্রত্নবস্তু ১৮শ’ শতাব্দীর আগে নির্মিত নাসিরনগরের হরিপুর জমিদার বাড়ির জমিদার কৃষ্ণপ্রসাদ রায় চৌধুরীর রেখে যাওয়া মূল্যবান সম্পদ।
তবে এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নবস্তু উদ্ধারে বা সংরক্ষণে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ দেখা যায়নি। এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক নিজে এসব প্রত্নবস্তুর অবস্থান ও ঠিকানা ভিডিওসহ প্রত্নত্তত্ব অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে প্রেরণ করলেও তারা এসব উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
প্রতিবেদক এসব প্রত্নবস্তুর অবস্থান ও ঠিকানা ভিডিওসহ প্রত্নত্তত্ব অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে প্রেরণ করলেও তারা এসব উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এমনকি এসব ঐতিহাসিক জিনিসপত্রের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে নাসিরনগর উপজেলার ইউএনও শাহিনা নাসরিনকে একাধিকবার প্রেরণ করা হলেও কোন উত্তর বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিল্লার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান জানান, এসব জিনিসপত্রের অনেক গুরুত্ব রয়েছে আমাদের কাছে। এসব উদ্ধারে আমাদের নিজস্ব আইনও রয়েছে। এসব কেউ আটকে রাখতে পারবেনা। এসব নিয়ে জমিদার বাড়িতে মিনি গ্যালারি তৈরি হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় এসব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক জিনিসপত্র অনতিবিলম্বে উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা গৃহীত হবে কিনা এ প্রশ্ন করা হলে এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, “এসব উদ্ধার করতে হলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের তেমন লোকবল নেই।”
এলাকাবাসী বলছে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর হরিপুর জমিদার বাড়িতে যে একটি মিনি জাদুঘর বা গ্যালারি তৈরির চিন্তা করছে এসব প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র সেখানে গৌরবের সাথে স্থান নিতে পারে।
অনতিবিলম্বে এসব উদ্ধার না করলে এসব ভারতে পাচার হওয়া সম্ভাবনাও রয়েছে বলেও জানিয়েছেন একটি বিশেষ সূত্র।