জুলাই ১৯, ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
ফাইল ফটো
গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের প্রয়োজনে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যাদের মরদেহ ঢাকায় এসেছে, তাদের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। তবে কিছু মৃতদেহ তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে কিভাবে ময়নাতদন্ত সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনে মরদেহ উত্তোলন করেও ময়নাতদন্ত করা যেতে পারে।”
গত বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো শহর। এ ঘটনায় চারজন নিহত হন এবং তাদের কারও ময়নাতদন্ত না করেই দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরেকজন বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার ময়নাতদন্ত ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
নিহতদের ময়নাতদন্ত না করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর বলেন, “যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং লাইভ নিউজ করেছেন, তাদের এসব প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তবে যারা সেখানে ছিলেন না, তাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক প্রশ্নের উত্তর লাইভ কাভারেজেই পাওয়া যায়। না হলে এসি রুমে বসে অনেকেই অনেক কিছু অনুমান করে থাকেন।”
গোপালগঞ্জে সহিংসতার পেছনে গোয়েন্দা ত্রুটি ছিল কি না—এই প্রশ্নে তিনি জানান, “একটি হাই-পাওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিই নির্ধারণ করবে দায় কার।”
তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শনের কারণ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইমিগ্রেশন কী অবস্থায় আছে, কত জনবল লাগবে—তা যাচাই করতেই এসেছি।”
বিতিনি জানান, নতুন টার্মিনালের ইমিগ্রেশনে প্রায় ৪০০ জনবল প্রয়োজন হবে।