বিয়ের দাবি: প্রেমিকের বাড়িতে ফাঁস নিলেন গৃহবধূ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৪, ২০২৪, ১০:৪৮ এএম

বিয়ের দাবি: প্রেমিকের বাড়িতে ফাঁস নিলেন গৃহবধূ

ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন অবস্থান নেওয়ার পর টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর প্রেমিক সোহাগ উপজেলার খালুয়াবাড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে এরই মধ্যে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গলায় ফাঁস নেওয়া গৃহবধূর নাম শান্তা আক্তার। তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

সূত্র জানায়, এক বছর আগে ফেসবুকে সোহাগের সঙ্গে শান্তার পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। একসময় বিয়ের জন্য সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন ওই গৃহবধূ। তখন টালবাহানা শুরু করেন সোহাগ। এছাড়া তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকাসহ ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছে বলেও দাবি করেন ওই গৃহবধূ।

স্থানীয় মোড়ল (গ্রাম্য নেতা) ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার পাননি শান্তা আক্তার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে দুঃখ ও ক্ষোভে চলতি সপ্তাহের শনিবার রাত আটটার দিকে প্রেমিক সোহাগের টিনসেড বাড়ির একটি ঘরে প্রবেশ করেন শান্তা। পরে অভিমানী শান্তা ওই ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রেমিক সোহাগকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।”

Link copied!