মে ৩০, ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
সী-ফেয়ারার্সদের (নাবিকদের) ‘অন এরাইভাল ভিসা’ জটিলতা সমাধানের ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) চেষ্টা করবে এবং এ বিষয়ে সফল হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সফররত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব আর্সেনিও এন্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো (Arsenio Antonio Dominguez Velasco) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি’র সঙ্গে সাক্ষাতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় তারা মেরিটাইম সেক্টরের সেইফটি ও সিকিউরিটির বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, “এশিয়া মহাদেশের মধ্যে আইএমও’র মহাসচিবের বাংলাদেশে প্রথম সফর-এটি বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের জন্য একটি ভালো বার্তা।”
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মহাসচিব সাক্ষাত করেছেন। সেখানে তিনি আশাবাদী ও উৎসাহিত হয়েছেন। এরকম একজন লিডারশিপ থাকলে যে কোনও মেরিটাইম নেশন এগিয়ে যেতে পারে। পরে মহাসচিব ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ঘুরে দেখেন। এত বড় মাপের একজন নেতা এত সাধারণ পরিবেশে থেকেছেন জেনে মহাসচিব অবাক হন।”
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে আইএমও’র ফুল সাপোর্ট এবং আইএমও’র মাধ্যমে অন্যান্য দেশের সহযোগিতার জন্য প্রতিমন্ত্রী আইএমও মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ মুক্ত করার ব্যাপারে আমাদের সিরিয়াসনেসের বিষয়ে মহাসচিব প্রশংসা করেন। এ সময় মেরিটাইম সেক্টরের সেফটি ও সিকিউরিটি, গ্রীন শিপবিল্ডিং, হংকং কনভেনশন অনুসরণ ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর ও আইএমওতে বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন কাজী এবিএম শামীম উপস্থিত ছিলেন।