জুন ২৮, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শাটডাউন ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি আগামীকাল রোববারও চলবে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এই ঘোষণা দিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, তবে তার আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার।
তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানকে রেখে রাজস্ব খাতে কোনো সংস্কার সম্ভব নয়। তাঁর ভাষায়, এনবিআর প্রধান একটি বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
চলমান শাটডাউনের ফলে শনিবার এনবিআর ভবনে কোনো কার্যক্রম চলেনি। ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতেও পারেননি, বের হতেও পারেননি।
একই অবস্থা দেখা গেছে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল ও ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের বিভিন্ন কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে। ফলে আমদানি ও রপ্তানিতে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিকাবদার অভিযোগ করেন, এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান ৪৪ জন আলোচিত আমলার তালিকায় তৃতীয়, যাঁরা আগের সরকারপন্থী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, “এই কর্মকর্তা যে রাজস্ব সংস্কারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবেন এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবেন, তা অস্বাভাবিক নয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, ২১ ও ২২ জুন একাধিক আদেশের মাধ্যমে সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রতিহিংসামূলকভাবে ঢাকার বাইরে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
এসব আদেশে যথাযথ যোগদানের সময় না দেওয়ায় তা চাকরির বিধির পরিপন্থী ও অবৈধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যানকে দায়ী করে রিকাবদার বলেন, “এই আদেশগুলো তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অংশ। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজস্ব খাতে সংস্কারের পরিবেশ নষ্ট করছেন।”
এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তবে তারা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।