আগামী সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, “মেট্রোরেল চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন বন্ধ থাকবে।”
রোববার (১১ আগস্ট) মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ তথ্য জানান।
এম এ এন সিদ্দিক জানান, “শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় দুটি স্টেশনে ভাঙচুর হয়। সেগুলো বাদ দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল পুনরায় চালুর জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের বিষয়ে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “এ দুই স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য গঠিত কমিটি প্রযুক্তিগত বিষয়ে এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি। আমরা আশা করছি কমিটি শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবে এবং আমরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আপাতত ওই দুই স্টেশন বাদ দিয়ে কার্যক্রম চলবে।”
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ এর মেট্রো স্টেশনের নিচে পুলিশ বক্সে আগুনের ঘটনায় মেট্রোরেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, “চলতি সপ্তাহে মেট্রোরেল চালুর কোনও সম্ভাবনা নেই। আমি নিজেও জানিনা মেট্রোরেল কবে চালু করতে পারবো। তাই এই বিষয়ে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না।”
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ মধ্যে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) এসব স্টেশনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও ভাঙচুর করা হয়। তবে ভেঙে ফেলার আগমুহূর্ত পর্যন্ত ক্যামেরাগুলোয় হামলাকারীদের ভিডিও-ছবি ধারণ হয়েছে। সেসব ছবি-ভিডিও দেখেই হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল সূত্র।
এর আগে, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্টেশন ২টি ঠিক করে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে। এর আগে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও এই দুটি স্টেশনে ট্রেনের বিরতি ও যাত্রী সুবিধা বন্ধ থাকবে।