ঢাকার সড়কে চলন্ত প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৫, ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম

ঢাকার সড়কে চলন্ত প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় সড়কে চলন্ত অবস্থায় একটি প্রাইভাট কার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়ায় গাড়িটি অল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সমকাল।

সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শারমিন গ্রুপের থেকে তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে ঢাকায় ফিরছিলেন চালক মনিরুল ইসলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাড়িটি বেড়িবাঁধের পঞ্চবটি এলাকায় পৌঁছায়। তখন সড়কে যানবাহনের চাপে ধীরে ধীরে চলছিল গাড়ি। হঠাৎ প্রাইভেটকারের চালকের আসনের পাশ দিয়ে বাইরে থেকে রড ঢুকিয়ে দেয় এক ছিনতাইকারী। এরপর দ্রুত গাড়ি সামনের দরজা খুলে আরও দু’জন চালককে মারধর করে বাইরে নামিয়ে ফেলে। এ সময় গাড়িতে থাকা বাকি তিন আরোহীকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে দুর্বত্তরা। ওই তিনজনকেও অস্ত্রের মুখে দ্রুত গাড়িথেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ছিনতাইকারীদের একজন নিজেই গাড়িটি চালানো শুরু করে। এ সময় গাড়িটিতে থাকা সবার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগও কেড়ে নেয় ছিনতাকারীরা।

সমকালের প্রতিবদেন আরও বলা হয়, এ ঘটনার সময় একই সড়কে একই কোম্পানির আরেকটি প্রাইভেটকার অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিলেন। সেই গাড়ির চালক রফিকুল ইসলাম ছিনতাইয়ের ঘটনাটি দেখতে পান। তখন নিজের প্রাইভেটকারটি থামিয়ে রেখে দৌড়ে তিনি ছিনতাই হওয়া গাড়ির সামনের বনেটের ওপর লাফিয়ে উঠেন। তখন ছিনতাইকারী জোরে গাড়ি চালানোর পর বনেট থেকে তিনি ছিটকে পড়েন।

এরপর ওই প্রাইভেটকারের যাত্রীরা মোবাইল ফোনে ছিনতাইয়ের ঘটনা অফিসের অন্য কর্মকর্তাদের জানান। ঘটনা জানার পর কামরুজ্জামান ও সাজিদুল ইসলাম সম্রাট নামে প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তা গাড়ির জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করেন। তাদের মধ্যে কামরুজ্জামান তখন ছিলেন আশুলিয়ার কর্মস্থলে। আর সম্রাট ছিলেন উত্তরায় তার বাসার কাছাকাছি।

সাজিদুল ইসলাম সম্রাট সমকালকে জানান, ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখা যায়গাড়িটি বেরিবাঁধ উত্তরার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। এরপর সম্রাট মোটরসাইকেলে গাড়ির পিছু নেন। একপর্যায়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯এ কল করে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর দ্রুত গ্রামীণ ফোনের সহায়তায় ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয় গাড়ির ইঞ্জিন। তখন প্রাইভেটকারটি ছিল টঙ্গী কলেজ গেটের কাছাকাছি। ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পর বিপাকে পড়েন ছিনতাইকারীরা। তারা রাস্তায় পাশে গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়।

এরপর শারমিন গ্রুপের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় গাড়িটি উদ্ধার করেন।

শারমিন গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সমকালকে বলেন, “কোম্পানির কয়েকজন একটি টিম হিসেবে কাজ করেছে। তারা গাড়ির গতিবিধির ওপর নজর রেখেছে, পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশও সহযোগিতা করেছে। উদ্ধারের পর প্রাইভেটকারের মধ্যে চাপাতি, রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এর আগে প্রাইভেটকারে আমাদের প্রতিষ্ঠানের যে তিন কর্মকর্তা ছিলেন তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে তুরাগ থানায় জিডি করা হয়েছিল। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার সব ধরনের সহযোগিতা করেন।”

Link copied!