জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলায় দণ্ডিত বিডিআর সদস্যদের কারামুক্তি, মামলার পুনঃতদন্ত, ন্যায়বিচার নিশ্চিত, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ ‘ব্লকেড’ করেছে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা এই ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শাহবাগ ‘ব্লকেড’ করা হয়। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ মোড়-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এর আগে দুপুর একটার দিকে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল শুরু করেন। মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড়ে যান। তাঁদের কেউ কেউ শাহবাগ মোড়ের সড়কে শুয়ে ও বসে পড়েন। অনেকে দাঁড়িয়ে অবস্থান নেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শাহবাগের দিকে এলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকারের নেতৃত্বে স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যান। আর অন্যদের মধ্যে একটি অংশ শাহবাগ থানাসংশ্লিষ্ট সড়কে অবস্থান নেন। আরেকটি অংশ শহীদ মিনারে ফিরে যান।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ফিরে এসে সন্ধ্যায় মাহিন সরকার শাহবাগে সাংবাদিকদের বলেন, সারা রাত শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। যদি তারা ন্যায়বিচারের ইঙ্গিত না পান, কোর্ট ও সরকারের কাছ থেকে অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট (আনুষ্ঠানিক বিবৃতি) না পান, তাহলে বৃহস্পতিবার শাহবাগ ব্লকেড করা হবে। একই সঙ্গে কর্মসূচি চলমান থাকবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। বর্তমানে বাহিনীর নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।