রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে নিহত যুবক শামীম মিয়া যুবদল কর্মী নয় বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ জানিয়েছে, শামীম একজন ডাক্তারের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শামীমের বাবা ইউসুফ মিয়ার বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের আক্রমণ চলাকালে শামীম পুলিশ হাসপাতালের সামনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় শামীম স্ট্রোক করে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীদের পদতলে পিষ্ট হয়ে সে রাস্তায় পড়ে থাকে। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ বিষয়ে পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হায়দার জানান, শামীমের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এদিকে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে শামীম মোল্লা নামে এক যুবদল নেতা নিহত হন বলে দাবি করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।
তিনি জানান, প্রাণ হারানো শামীম মোল্লা মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানায়।