তফসিল ঘোষণা হবার জোর সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন ও তার আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ,র্যাবসহ বিজিবির গাড়িও টহল দেচ্ছি। এমনকি ইসিতে এনআইডি সংশোধনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানি মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসি ভবনের সামনে চার টিমের পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, যা আগে ছিল না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও গেটের সামনে পুলিশের কাছে উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে।
ইসি ভবনের সামনে নিরাপত্তা দেখুন সরাসরি...
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তফশিল ঘোষণার সময়। ফলে বাকি আছে আজকের দিন। ইসি সচিবের বক্তব্য অনুসারে আজ অথবা কাল তফশিল ঘোষণার একটা সম্ভাবনা আছে। তফশিল ঘোষণা কেন্দ্র করেও ইসির নিরাপত্তা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, তফসিল চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশনাররা আজ বিকাল ৫টায় বৈঠকে বসবেন এবং এর পর সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।
এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফশিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।
তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে তখন তিনি বলেন, কমিশন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সভা করেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের কাজ। কোন ধরনের হুমকি কিংবা বাধা নেই।
এদিকে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর সাথে সমঝোতা ছাড়া একতরফা তফসিল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত শেষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল হবে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। তারাই একমাত্র দল যারা ইসি ভবন অভিমুখে যাত্রা করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ডিসেম্বরের শেষ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।