ভোটগ্রহণের ৪৪ ঘণ্টা পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের দুইদিনব্যাপী নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে এই ভোটগণনা শুরু করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরপর ঘোষণা করা হবে ফলাফল।
এর আগে ভোটগণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে ওই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।
অন্যদিকে মামলার পর শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ সময় নাহিদ সুলতানা যুথীকে বাসায় পাওয়া যায়নি।
অভিযানে গ্রেপ্তার আইনজীবীরা হলেন- কাজী বশির আহমেদ (৫ নম্বর আসামি), অ্যাডভোকেট তুষার (৯ নম্বর আসামি), অ্যাডভোকেট তরিকুল (১৯ নম্বর আসামি), অ্যাডভোকেট সুমন (৮ নম্বর আসামি) ও অ্যাডভোকেট উসমান (৬ নম্বর আসামি)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবী ও অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সুকৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনিভাবে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এছাড়াও হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ মামলার ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী নামের এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচটায় শেষ হয়। দুইদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা হয়নি।