জুন ১৫, ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত নিয়োগপ্রত্যাশীদের লংমার্চ কর্মসূচি চলাকালে তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় লাঠিচার্জের ঘটনাও ঘটে।
রোববার, ১৫ জুন দুপুর দেড়টার দিকে সচিবালয় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এনটিআরসিএ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হাজারো প্রার্থী নিয়োগ না পাওয়ার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচির ডাক দেন।
তিনটি দাবি নিয়ে তারা আজ আন্দোলনে নামেন। তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১৭ তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। ১৭ তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আজ কর্মসূচির একপর্যায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে তারা সচিবালয় এলাকায় প্রবেশ করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। নিক্ষেপ করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড।
পুলিশ জানিয়েছে, সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু আজ দুপুরে শিক্ষকেরা এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সচিবালয় এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের থামাতে অন্তত পাঁচটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। পাশাপাশি লাঠিচার্জও করা হয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সচিবালয়ের মুখে তাঁদের লং মার্চ কর্মসূচি ছিল। সকাল থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করেছেন প্রেসক্লাবের সামনে। এরপর হঠাৎ দুপুর দেড়টার সময় তাঁরা এখানে এসেছিলেন। আমি জেনেছি যে, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৭ তম ব্যাচের নিবন্ধনধারী।
মাসুদ আলম আরও বলেন, ‘ওনাদের আমি পাঁচজনকে সচিবালয় পাঠিয়েছিলাম যে সচিবালয়ের উনারা গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে তাদের বিষয়গুলো আপডেটগুলো জেনে আসুক। তো তাদের এই পাঁচজন গেছেন। ওই পাঁচজন মনে হয় ওখানে যাওয়ার পর তারা বলছেন যে, এখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত যাবেন না।’
তিনি বলেন, তারা আবার লিংক রোডে চলে আসেন। লিংক রোডে যথারীতি আমাদের একটা ব্যারিকেড আছে। ব্যারিকেডটা যখন ভাঙার চেষ্টা করে, তখন পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়, ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু এরপরেও তারা মানছিলেন না, একটু বেপরোয়াও হয়ে গিয়েছিলেন।
মাসুদ আলম বলেন, ‘সচিবালয়ে তো আমরা যেতে দিতে পারি না। ওখানে তো ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুই-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’