জুলাই ২৪, ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনের সময় সহিংসতার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি ও জঙ্গিদের দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করবো। তাদের আইনের মুখোমুখি করবো। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াবো না।”
বুধবার (২৪ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনের সময় সংঘাত-সংঘর্ষে নিহত ৩ পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্যর পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ ঘটনায় পুলিশের যে তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন, তারা হলেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তাদির। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় কর্মরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মো. জুয়েল নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহত সবার পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘাত-সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একটি অচল অবস্থা তৈরির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি শক্তি, জঙ্গিরা একত্র হয়ে এসব ঘটনা একের পর এক ঘটিয়েছে। আমরা কোনো সময়েই দেখিনি থানা ভবন আক্রমণ করতে, কারাগার আক্রমণ করতে- এগুলো আমরা নতুন করে দেখলাম।”
আসাদুজ্জামান খান বলেন, “পুলিশকে চিহ্নিত করে ধরার জন্য মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকতে পারেনি। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এক চিহ্নিত করব। তাদের আইনের মুখোমুখি করব। এখান থেকে আমরা এক পা সরে দাঁড়াবো না।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের উত্থান, বিএনপি-জামায়াত চক্রকে এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করেন আসাদুজ্জামান খান। কারণ, দেশের মানুষ এটি পছন্দ করছে না।”
এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।