ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ১২:০৫ এএম
আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিব। বাঙালি জাতির শোকের ও গৌরবের দিন। রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ঐতিহাসিক এই দিবসটি শুধু বাঙালির নয়, পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের।
১৯৫২ সালের এ দিন ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন রফিক-সালাম-বরকতরা। তাদের ত্যাগের বিনিময়েই ১৯৫৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি উর্দুর সঙ্গে বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করতে বাধ্য হয় তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার। কালক্রমে এদিনই হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একেুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাত ১২টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমন পরিস্থিতির কারণে দুই বছর পর সশরীরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। শহীদবেদিতে ফুল দিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এছাড়া শহীদবেদিতে ফুল দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী । এরপর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, “ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে।”
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, “বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।”