আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার কোনো লবিস্ট নেই: ওবায়দুল কাদের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৬, ২০২৩, ০১:২৬ পিএম

আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার কোনো লবিস্ট নেই: ওবায়দুল কাদের

সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পশ্চিমাদের ওপর ক্ষুদ্ধ- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি মনে করছেন পশ্চিমারা তাঁকে ও তাঁর দলকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে। ঘন ঘন তাদের দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছেন। নালিশের পর নালিশ লবিস্ট করছেন। আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার কোনো লবিস্ট নেই। 

মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢাকা -১৭ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর পাঠান ফারুকের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিদেশিরা এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে এমন অসম্ভব চিন্তা শেখ হাসিনা কখনো করেন না মন্তব্য করে কাদের বলেন, ক্ষমতায় বসাবার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই জনগণের ভোটে। জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নেই। এ মানসিকতা যার তিনি বিদেশি বা দেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ভয় পাবেন মনে করার কোনো কারণ নেই। 

প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুকের কর্মজীবন স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক। আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গেছেন তিনি। আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন অবিচল, অনড় ও আপোসহীন। 

কাদের বলেন, তাঁর (ফারুক) থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে আদর্শের প্রশ্নে তিনি সংকটেও দিশেহারা হননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। নায়ক ফারুক তখনও ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক। কিন্তু সেসময়ও তাঁর পেশাজীবনে ক্ষতি হবে সেটা হতেও পারত তারপরও তিনি বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করে গেছেন। 

তিনি বলেন, তাঁর লাইফ ছিল কালারফুল। একদিকে নায়ক আরেকদিকে রাজনীতি। মাঠের সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। চিত্রনায়ক ফারুকের মতো সরাসরি রাজনীতির মাঠে ছিলেন এভাবে কোনো নায়ককে দেখিনি।

এ সময় নায়ক ফারুক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক বিশ্বাস, আচরণ ও কর্মকাণ্ডে তিনি এক চুলও তার আদর্শ থেকে নড়েননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গেছেন। আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল, পাহাড়ের মতো অটল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কৃত করেছেন, জাতীয় সংসদে গুলশান আসনে মনোনয়ন দানের মাধ্যমে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তিনি এলাকাবাসীর জন্য কিছু করার সময় পাননি।’

অনেক দিন নায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কোমায় ছিলেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু দিন আগে তার গলার স্বর টেলিফোনে শুনতে পেলাম। আমরা ভেবেছি, তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু তিনি ফিরে এসেছেন, মরদেহ হয়ে। তার থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে আদর্শের প্রশ্নে তিনি সংকটেও দিশেহারা হননি।’

চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক সোমবার (১৫ মে) সকালে সিঙ্গাপুরে মারা যান। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় ফারুকের মরদেহ।

এ সময় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও ফারুককে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাট্যদল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বিশিষ্ট রাজনীতিক, সিনেমার তারকা ছাড়াও ভিড় করেন অগণিত সাধারণ মানুষ।

Link copied!