ঢাকায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছে। আজ রবিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম অংশীদারি সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলে থাকছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের নীতিবিষয়ক ডেপুটি আন্ডারসেক্রেটারি আমান্ডা ডোরি।
বৈঠকে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গতকাল শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি আজ অংশীদারি সংলাপ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের পর তিনি ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড তাঁর পাঁচ দিনের বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফরে নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ এই বৈঠকে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরে তা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অন্বেষণের লক্ষ্যে সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। বৈঠকে রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, আসন্ন অংশীদারি সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র পাঁচটি ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে। এগুলো হলো—বাণিজ্য, শ্রম ও বিনিয়োগ, মানবাধিকার ও সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক হুমকি, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকসহ আঞ্চলিক ইস্যু ও নিরাপত্তা সহযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে থাকবে—এই বার্তাও মিলবে এবারের সংলাপে।