ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। ২৫ জুলাই রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনের পদ্মা হলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন রনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।’ বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে তিনি টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
তাঁর এমন ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই সমালোচনা বন্ধ করতে মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘কোথাও একটা মিসকমিউনিকেশন হচ্ছে বা কোনো গোষ্ঠী দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার আন্দোলন স্থগিত হয়নি।’
তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কনসার্নে, দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে, সিন্ডিকেট, কালোবাজারি, দুর্নীতিবাজদের ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টায় আন্দোলনকে পুঁজি করে রাজনৈতিকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে রুখে দিতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং নানা রকম যুক্তিতর্কের পর তারা আমার দাবিগুলো মেনে নেয় এবং আমাদের ছয় দাবি বাস্তবায়নে তদারকিতে আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়। শর্ত ছিল এমনই যে তাদের তৎপরতার ঘাটতি থাকলে বিনা টাকায় দেশের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সমস্যা আমিই সমাধান করব এবং ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করব।’
তিনি আরো লিখেন, ‘অংশীজন কমিটিতে তাই বিনা পারিশ্রমিকে কোনো ব্যক্তি ফ্যাসিলিটি ছাড়াই আমি তাদেরকে গবেষণা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ এবং সকল জনগণের অভিযোগের সাপেক্ষে ১৮ কোটি মানুষের হয়ে অ্যাডভোকেসি করার এবং বাস্তবায়ন কমিটিকে চাপ প্রয়োগকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারব। ’
মহিউদ্দিন রনি লিখেন, ‘আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হলেও সিভিক সেন্স ডেভেলপমেন্টে এবং কিভাবে রুট পর্যায়ের মানুষও তাদের অভিযোগ লিখতে পারে, কোথায় তা সাবমিট করতে পারে এবং আইনের সঠিক বিচার পেতে পারে― এ বিষয়গুলোর জন্য জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক স্টেশনে শিক্ষার্থীদেরসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের সমন্বয়ে গণসংযোগ ও জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করব।’