চুল কাটার জন্য নির্দিষ্ট ধরন ‘সুন্নতি কাটিং’ ও ‘ডিফেন্স/আর্মি কাটিং’ নির্ধারণ করে দিয়েছেন ভোলার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এক নোটিশে তিনি এলাকাবাসীকে নির্দিষ্ট ধরনে চুল কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি ইউনিয়নের সেলুন এবং কারিগরদেরও সতর্ক করা হয়েছে যেন নির্ধারিত ধরনের বাইরে চুল না কাটেন। গত ২৫ অক্টোবর এ সংক্রান্ত নোটিশ দেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সুন্নতি কাটিং’, ‘ডিফেন্স/আর্মি কাটিং’ ছাড়া অন্য কোনো স্টাইলে চুল কাটলে সেলুন মালিক ও কারিগরদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে মারধর করেছেন চেয়ারম্যানের ছেলে তুষারের বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই চলছে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
ইউপি চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তকে সংবিধানের ৩১ ও ৩২ ধারা লঙ্ঘন অর্থাৎ মানুষের জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে ইউপি নাজিম উদ্দিন হাওলাদার জানান, তিনি স্থানীয় মুসলিমদের সাথে কথা বলে ২৫ অক্টোবর নোটিশ জারি করেন। তার নোটিশের যৌক্তিকতা নিয়ে তিনি দ্বিধায় আছেন। তার ছেলে কর্তৃক এক কিশোর মারধরের শিকার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার ছেলের সাথে স্থানীয় জসিমের ছেলের সাথে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। তবে মিমাংসা করে নিয়েছি’।
সম্প্রতি নৌকা প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দিন।