ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় গতি ও স্বচ্ছতা আনতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ই-নথির (ই-ডকুমেন্টস) ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কর্মকর্তারা ই নথি ব্যবহার কম করায় ডাক ও নথিপত্রের লেনদেন ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া যথাসময়ে তথ্য ডিজিটালাইজেশন করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ইউজিসিকে এক নোটিশের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানায় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে বলা হয়, ইউজিসির অনেক কর্মকর্তা ই-নথি নিয়মিত ব্যবহার করছেন না। একারণে কমিশনে ডাক ও নথিপত্র যথাসময়ে আসছে না। যার ফলে কাজের ব্যঘাত ঘটছে।
ই নথির ব্যবহার ৮০ শতাংশ
২৬ জানুয়ারী ইউজিসিতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক কর্মকর্তা ই-নথিতে তাদের অংশ সম্পূর্ণ করছেন না, ই-ডকুমেন্টেশনের বেশিরভাগ কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। জানতে চাইলে ইউজিসির দুই বিভাগীয় প্রধান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইউজিসির ৮০ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ই-নথি ব্যবহার করছেন।
ইউজিসির জেনারেল সার্ভিস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক সুলতান মাহমুদ বলেন, ইউজিসি অফিসে এখন ই-নথির ব্যবহার প্রায় শতভাগ। এমনকি সম্প্রতি এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ইউজিসিতে ই-ডকুমেন্টের ব্যবহার শতভাগ হবে বলে তিনি দাবি করেন।
সরকারি কাজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করতে সরকারি অফিসে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে ই-নথির (ই-ডকুমেন্টেশন) ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে অজ্ঞাত কারণে সরকারি অফিসে ই-নথির ব্যবহার খুব বেশি বাড়েনি।
ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান দাবি করেন, সরকার ই-নথির ব্যবহার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে এবং ইউজিসি ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
“আমাদের কিছু বিভাগ শতভাগ ই-নথি ব্যবহার করছে। কয়েকটি বিভাগ রয়েছে যেখানে ই-নথির ব্যবহার শতভাগ নয়, তবে সেইসব বিভাগেও ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ব্যবহারকারী নিয়মিত লগ ইন করে এবং ই-নথি সম্পূর্ণ করে। এমনকি এখানকার কর্মচারীদেরও ই-নথি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করি কিছুদিনের মধ্যে ই-নথির ব্যবহার শতভাগ হবে,” বলেন সুলতান মাহমুদ।