সহিংসতা, প্রাণহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। ইতোমধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় ২ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
গৌরনদীতে ককটেল বিস্ফোরনে নিহত ১
বরিশালের গৌরনদীতে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। তিনি জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। ভোটগ্রহণকারীরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। তখন স্থানীয়দের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কি হলে এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাটি কেন্দ্রের বাইরে ছড়িয়ে পরে। তখন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে মৌজা আলী মৃধাসহ তিনজন আহত হন। তাদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃধাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলার চরফ্যাশনে নিহত ১
ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদস্য পদপ্রার্থী মো. ইয়াসিন ও ইউনুস সিকদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় গুলিবিদ্ধ হন মনির নামের এক ব্যক্তি।ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরফকিরা কোয়াইড প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সোমবার সকালে সংঘর্ষ হয়।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শোভন বাশাক বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ হাসপাতালেই আছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হন মনির। তবে এসপি জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১২টি ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি পুলিশের নয়, প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
পটুয়াখালীর বাউফলে দুজন আহত
পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।কেশবপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই এই ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।