সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১, ০৩:১০ পিএম
দেশের এমপিওভুক্ত (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, বদলিসহ বিভিন্ন কাজে বড় ধরণের ঘুষ বাণিজ্য হয়ে থাকে। অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূতভাবে দিতে হয়।
শিক্ষক বাণিজ্যের এই অর্থ চলে যায় ক্ষমতাসীন বা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা, গভর্নিং বডি ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির পকেটে। আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর এক গবেষণায়এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার(২৯ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র প্রকাশিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এমপি বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সভাপতি মনোনীত করা হয় উল্লেখ করে টিআইবি’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে অনেকাংশে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে পারে না যা শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কমিটির সভাপতি/সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অশিক্ষিত লোক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে করে শিক্ষকদের সঙ্গে কমিটির সদস্যদের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশকৃত সহকারী শিক্ষকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানে ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়।
স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির (জিবি) সংশ্লিষ্টরা এসব নিয়ম-বহির্ভূত অর্থ আদায়েও জড়িত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।