প্রচণ্ড গরমে নাকাল রাজধানীবাসী। গরমে জ্বর, কাশিসহ দেখা দিয়েছে নানা রোগ। বেড়েছে নাগরিক ভোগান্তি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। সুস্থ থাকতে রাস্তার পাশে খোলা খাবার না খেয়ে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বৃষ্টির অভাবে গরম বেশি
গ্রীষ্মের শুরু থেকেই সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও মাঝে মাঝেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে নগরজীবন। তীব্র গরমে দৈনন্দিন কাজ সারতে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পানীয় দিয়েই মেটাচ্ছেন তৃষ্ণা। স্বাস্থ্যঝুকির কথা মাথায় রেখে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ চিকিৎসকদের।
তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত শরীর যেন আর চলে না। তাই গাছের ছায়ায় একটু প্রশান্তির আশায় রিকশাচালকরা। ছবি : তুহিন কান্তি দাস
ঘূর্ণিঝড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
গত এক সপ্তাহের গড় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকলেও দুদিন সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ২৬ মে একটি ঘুর্ণিঝড় হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হলে সেটি ইয়াস নাম হবে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হবার পাশাপাশি গরম পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আবহাওয়া অফিস আরো জানিয়েছে, সারগে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হলে মাসের শেষের দিকে বজ্রপাতসহ ঝড় বা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে কমে আসবে গরমের তীব্রতাও।