পারিবারিক কলহের জেরে এক নারী কীটনাশক পান করে এবং তার শিশুসন্তানকে জুসের মধ্যে কীটনাশক পান করিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ময়েন উদ্দিন ও তার বাবা আবেদ আলী পলাতক রয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় মৃতের শাশুড়ি এজেদা বেগমকে (৪৫) আটক করেছে থানা পুলিশ।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, গণেশপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী আমিনা বেগম (২২) ও তার দুই বছরের ছেলে আমির হামজা।
থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ বছর আগে আমিনা বেগমের সঙ্গে ময়েন উদ্দিনের বিয়ে হয়। ময়েনউদ্দিন পেশায় চা দোকানি। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আমিনা বেগমের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সবাই তাকে নির্যাতন করতেন।
শনিবার বিকেলেও পরিবারের লোকজন সবাই মিলে তাকে নির্যাতন করে। সেই ক্ষোভে ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমিনা ও তার ছেলে আমির হামজা জুসের মধ্যে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ময়েন উদ্দিন এসে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রী-ছেলের নিথর দেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখেন।
মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর নিহতের শাশুড়ি এজেদা বেগমকে আটক করা হয়েছে।” নিহতের বাবা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে মামলা করছে বলেও তিনি জানান।