গভীর সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে মহেশখালী ডিপোতে প্রথমবারের মতো ডিজেল ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস শুরু হয়েছে। এর আগে, গতকাল রবিবার বেলা তিনটার দিকেই শুরু হয় তেল খালাসের কার্যক্রম প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন সরকারি তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) মো. লোকমান বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টা ১২ মিনিটে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পশ্চিম দিকে সাগরে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার মেট্রেক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা ‘এমটি হোরে’ নামের ট্যাংকার থেকে পাইপলাইনে তেল খালাস শুরু হয়। সাগরের তলদেশের পাইপলাইনের মাধ্যমে এই তেল মহেশখালীর কালারমারছড়ায় পাম্প স্টেশন ও ট্যাংক ফার্মে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে দুই লাখ টন তেল ধারণক্ষমতার ছয়টি ট্যাংক রয়েছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারির এমডি আরও জানান, মহেশখালীর পাম্প স্টেশন ও ট্যাংক ফার্মে তেল জমা হওয়ার পর সেখান থেকে পাম্প করে তা চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সমুদ্র উপকূল হয়ে বন্দরনগরীর পতেঙ্গায় অবস্থিত ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাইপলাইনটির বেশিরভাগই সাগরের তলদেশে স্থাপন করা। মহেশখালীর তেলের ডিপো থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে নির্মাণ করা হয়েছে বড় জাহাজ থেকে তেল খালাস করার ভাসমান টার্মিনাল।
এর আগে ছোট ছোট জাহাজের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে থাকা তেলবাহি বড় জাহাজ থেকে তেল খালাস করে মহেশখালীর ডিপোতে আনতে হতো। এতে সময় লাগতো প্রায় ১২ দিন। এখন পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি ডিপোতে পৌঁছাবে তেল। এতে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সংশিল্ষ্ট সূত্র আরও জানায়, গভীর সমুদ্রে থাকা তেলবাহি বড় জাহাজ থেকে তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে খালাসের সময় তেল চুরি ও সিস্টেম লসের ঘটনা ঘটবে না। তাছাড়া, জাহাজ অপেক্ষায় থাকা ভাড়াও আর গুণতে হবে না। ভাসমান টার্মিনাল ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে এসব সঙ্কটের অবসান হলো।