চলতি বছরে সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ২২ মে (রবিবার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বুধবারই নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত সোমবার (১৬ মে) সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী শনিবার (২১ মে) হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা নিবন্ধনের অর্থ গ্রহণ করবে। এর আগে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০২০ সালের নিবন্ধিত সব হজযাত্রী ও প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক নম্বর ২৫ হাজার ৯২৪ পর্যন্ত এ বছর হজের নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ২০২০ সালের সব নিবন্ধিত ব্যক্তি এবার নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য আবশ্যিকভাবে পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট স্ক্যান করে নিবন্ধন তথ্য পূরণ করতে হবে। হজযাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ হজের দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাস অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। হজযাত্রীর দাখিল করা পাসপোর্টের যথার্থতা অনলাইনে যাচাই করা হবে।
নিবন্ধনের পর কেউ যদি হজে যেতে না পারেন, তাহলে শুধু বিমানভাড়া এবং খাবার বাবদ গ্রহণ করা টাকা ফেরত পাবেন উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বিমানের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর হজযাত্রা বাতিল করলে সেই টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন না।
এদিকে এ বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা নির্ধারণ করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। গত ১২ মে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারিভাবে এ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
প্যাকেজ-১-এ হজে যেতে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা খরচ হবে। এ প্যাকেজের যাত্রীরা মসজিদুল হারামের ১,০০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকবেন। সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা (প্যাকেজ-২) নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্যাকেজের আওতায় হজযাত্রীরা মসজিদুল হারামের ১,৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন।