বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা আরও একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অবশ্য ছাত্রদলের দাবি, রাজীবসহ চার নেতা-কর্মীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজীব আহসানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরামুল মিয়া।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘রাজীবের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৪০টি মামলা আছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে। তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।’
এর আগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর রাইফেল স্কয়ারের সামনে থেকে রাজীবসহ চারজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী জানান, রাজীব ছাড়া অপর তিনজন হলেন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম হাওলাদার, বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম আশরাফুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম।
আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, সাদাপোশাকে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রাজীবসহ চারজনকে তুলে নিয়ে যান। তারা এখন ধানমন্ডি থানায় আছেন।
রাজীবকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কবজায় নিয়ে গণতান্ত্রিক আচার-আচরণের তোয়াক্কা না করে অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ শাসন করছে। বর্তমান সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ধারাবাহিকভাবে গুম ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে রাজীবকে সাদাপোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে গেছেন।