রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জামিন পাওয়ার ফলে সোহেল রানার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
সোহেল রানার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনমুন আক্তার।অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান।
পরে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “রানা প্লাজা ধসে হতাহতের মামলায় ৪১ আসামির মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। সোহেল রানা ছাড়া ৩৭ জন জামিনে আছেন। ১০ বছর ধরে সোহেল রানা কারাগারে আছেন। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছেন “পুলিশের করা ওই মামলায় জামিন হওয়ায় তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলেও তিনি জানান।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন। দুর্ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
রানা প্লাজা ধস দুর্ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত হত্যা মামলাটি করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণ করায় আরেকটি মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তৃতীয় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে দুদক ওই মামলা করে।