চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে তিনি বাসায় ফিরেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার স্বামী অরুন চৌধুরী।
অভিনেতা ও পুলিশের পরিদর্শক ডি এ তায়েবও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, “রাত পৌনে ১২টার দিকে উনাকে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি। রাস্তায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। উনাকে আবার হয়তো ডাকা হবে।”
এর আগে, শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীমনিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ডিবির উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করার পর গণমাধ্যমে বলেন, ‘পরীমনি ও রাজের মামলা আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি।’
গত ৮ জুলাই ফেসবুকে রাজধানীর বোটক্লাবে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানিয়ে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে তিনি বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলেন পরীর পাশে চয়নিকা চৌধুরীকে দেখা যায়। এসময় পরী তাকে মা বলে সম্বোধন করেন।
পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর চয়নিকাকে পরীর সাথে সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করা হলে চয়নিকা বলেন, পরীর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, পরীর সাথে তার সম্পর্ক সম্পূর্ণটাই কাজের সুবাদে। তাদের মধ্যে শুধু কাজের ব্যাপারেই আলাপ হতো। এবং মাঝেমাঝে কাজের ব্যাপারে কথা বলার জন্যই তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম নারী নির্মাতা পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ওই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। এই সিনেমার কাজের পর থেকে নায়িকা পরীমনির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।