জেমস টেলিস্কোপ তৈরিতে অবদান আছে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী লামিয়ার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১২, ২০২২, ০৮:৪৪ পিএম

জেমস টেলিস্কোপ তৈরিতে অবদান আছে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী লামিয়ার

পৃথিবীর জন্মেরও আগের গহীন মহাশূন্যের হাজারো ছায়াপথের ছবি তুলে পাঠিয়েছে নাসার ‘জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি)’। যা এক বিস্ময়কর ঘটনা বটে! মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা জানিয়েছে, মহকাশে বিস্ফোরণের ঠিক পর পরই যে নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল, তারই ছবি এটি।

নিউইয়র্ক সময় সোমবার বিকেল ৫টায় নাসার ফ্ল্যাগশিপ মিশনখ্যাত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা এ ছবিটি উন্মোচন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এই জেমস ওয়েব প্রকল্পে কানাডিয়ান টিমের সদস্য হিসেবে ২০২০ সাল থেকে কাজ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জ্যোতির্পদার্থবিদ লামিয়া আশরাফ মওলা।

কানাডাপ্রবাসী এই বাংলাদেশি বিজ্ঞানী গবেষণা করছেন টরন্টো ইউনিভার্সিটির ডানল্যাপ ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে। ১৯৯১ সালে ঢাকার মালিবাগে জন্ম লামিয়ার। এখানেই বেড়ে ওঠা। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু করেছেন কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে।

ও-লেভেল, এ-লেভেল সম্পন্ন করার পর পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তি হন সেখানকার ওয়েলসলি ইউনিভার্সিটিতে। এরপর কানাডার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাস্ট্রোনমিতে পিএইচডি করেছেন।

নাসা জানিয়েছে, ছবিটি তুলেছে ওয়েব টেলিস্কোপের ‘নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরা (এনআইআরক্যাম)। সাড়ে ১২ ঘণ্টায় বিভিন্ন তরঙ্গের ইনফ্রারেড আলো নিয়ে ‘কম্পেজিট’; ছবিটি ধারণ করেছে এনআইআরক্যাম।

নাসা ছবির পুরো অ্যালবাম প্রকাশ করেছে ১২ জুলাই মার্কিন পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়, বাংলাদেশের সময়ে যা আজ ১২ জুলাই রাত সাড়ে আটটা। নিজস্ব ওয়েবসাইটে উন্মোচনী অনুষ্ঠান লাইভ প্রচার করেছে নাসা।

Link copied!