ফজলি আম নিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার টানাটানি অবশেষে শেষ হয়েছে। ফয়সালা হয়েছে ফজলি আম কার। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুই জেলাই অবশেষে ফজলি আমের জিআই সনদ (ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি) পেয়েছে। মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে শুনানি শেষে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন
এর আগে আজ বেলা ১১টায় পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে এ ব্যাপারে শুনানি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
শুনানিতে রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি গ্রহণ করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার।
আগামী রবিবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে। প্রকাশিত রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ আদালতের আশ্রয় না নিলে আগামী দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।গেজেট এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশ করে ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনো বাধা থাকে না।
প্রসঙ্গত, কোনো একটি স্থানের মাটি, পানি, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ওই স্থানের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি অনন্য গুণমানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই গুণমানসম্পন্ন সেই পণ্য ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
দেশে প্রথম জিআই সনদ পায় জামদানি। পরে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা চাল, ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়। এসব পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।