রেলের নতুন ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় দায়িত্ব পেয়েছে সহজ। তবে সেবা প্রদানের প্রথম দিনেই সকল ব্যবস্থাপনা কঠিন করে তুলেছে তারা। অনলাইনে টিকেট নয় বরং ওয়েবসাইটে প্রবেশই করতে পারছে না গ্রাহকরা। এছাড়া টিকেট ক্রয় নিয়েও নানা ভোগান্তিতে পরতে হয়।
অনলাইনে টিকেট না পেয়ে স্টেশনে দীর্ঘ লাইন
দেখুন সরাসরি
সাইবার হামলার শিকার
ই-টিকেটিংয়ের নতুন সার্ভিস প্রোভাইডার সহজ লিমিটেডের দাবি, প্রথম দিনই তারা ‘সাইবার হামলার’ শিকার হয়েছে। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সাইবার আক্রমণের কথা তাদের জানা নেই। তারা জেনেছেন, টিকেট কাটার চাপে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।শুরুর দিনেই অচলাবস্থা নিয়ে সহজ’র জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ বলেন, আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। দ্রুত ই-টিকেটিং সিস্টেমটা সচল করতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইবার হামলার শিকার হয়েছিলাম আমরা।
শুধু অনলাইনে এই অচলাবস্থাটা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন স্টেশনে কম্পিউটারাইজ প্রোগ্রামে কোনো সমস্যা হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আমরা দেশের ৭৭টা স্টেশনে কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে প্রায় ৪১ হাজার টিকিট বিক্রি করেছি।
আদৌ সাইবার হামলা নাকি কারিগরি অন্য জটিলতা- এ প্রশ্নের উত্তরে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, “এই কথাটা প্রথম শুনলাম, সাইবার হামলার কথা শুনিনি। সকালে শুনেছি কিছু সমস্যা হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছে, প্রায় দুই লাখ মানুষ এক সাথে টিকেট কাটতে ঢোকায় ক্যাপাসিটির সমস্যা হয়েছে। তাদের (সহজ) বলা হয়েছে, তারা কাজ করছে।
১২ বছর পর পরিবর্তন
এতদিন রেলের কম্পিউটারাইজড টিকেটিংয়ের কাজটি করে আসছিল 'সিএনএস' নামের একটি কোম্পানি। এখন সেই কাজ পেয়েছে সহজ, সিনেসিস ও ভিনসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ভেঞ্চারের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন এবং নতুন কোম্পানির দায়িত্ব নেওয়ার জটিলতায় ২১ থেকে ২৫ মার্চ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকবে। এই কদিন কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করে ২৬ মার্চ থেকে নতুন ব্যবস্থাপনায় টিকেটিং চালু হবে।
যাত্রীদের ভোগান্তি
দিনভরই সাইটে ঢুকতে না পারার কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।দিনভরই সাইটে ঢুকতে না পারার কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা। সহজের দাবি, ২১ দিনে ট্রেন টিকেটিং সল্যুশন তৈরি করেছে তারা।
অনলাইনে বাস, লঞ্চ টিকেট বিক্রির অভিজ্ঞতা থাকা সহজ আরও দুই কোম্পানিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ট্রেনের টিকেট ব্যবস্থাপনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ফারহাতের দাবি, “চুক্তি অনুযায়ী- চুক্তি সইয়ের দিন থেকে পরবর্তী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে রেলের টিকেট পরিচালনায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার হস্তান্তর করার কথা থাকলেও তা যথাযথভাবে হয়নি।”
তাদের কাছে অ্যাপও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সহজের এই কর্মকর্তা। এর আগে সিএনএসের নিজস্ব সাইটের মাধ্যমে রেলের টিকিট বিক্রি হলেও এবার তা রেলওয়ের নিজস্ব সাইট (www.eticket.railway.gov.bd) থেকে টিকিট মিলবে।