এপ্রিল ২, ২০২৩, ০১:৪৪ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে কিন্তু নির্বাচন আগে হোক বা পরে হোক, বিএনপির ভরাডুবি অনিবার্য। লন্ডনের পরিকল্পনা আর সফল হবে না।
রবিবার (২ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও গ্রন্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের শাসনামলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিক হত্যার হোতা ছিলেন তারা। এখন তারা সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না করেন। স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা আর মাতৃভূমিকে কটাক্ষ করা এক কথা।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলন করে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারে নাই। শেখ হাসিনার উদারতার কারণে বেগম জিয়া আজ নিজের বাড়িতে আছেন। তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে রেখেছেন। তারা প্রতিনিয়ত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের সঙ্গে অনলাইনে মিটিং করে যাচ্ছেন। এটাও বাংলাদেশে হচ্ছে, এরপরও তারা বলছেন বাংলাদেশে তাদের স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি আর বিশ্বের অন্য দেশের রাজনীতি এক নয়। গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবার গণঅভ্যুত্থানের হুংকার দিচ্ছে। অথচ তাদের গতকালের সমাবেশে ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের উপস্থিতি হয়েছে। রোজার দিনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে বিএনপি। জনগণ যে আন্দোলনে থাকে না, সেখানে গণঅভ্যুত্থান হয় না। তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। পথ হারিয়ে পদযাত্রা-মানববন্ধনে পরিণত হয়েছে তাদের কর্মসূচি। তাদের গণঅভ্যুত্থান আর দাঁড়াতে পারবে না।
নির্বাচন নিয়ে গুজব তুলছে বিএনপি এ কথা জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন দেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের আগে বা পরে হোক তাদের ভরাডুবি অনিবার্য। লন্ডনের ফরমায়েশ এদেশে চলবে না।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টে খন্দকার মোস্তাক আর জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তারা যদি ঘাতকদের সহযোগিতা না করত তাহলে তাদের দুঃসাহস ছিল না বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। হত্যাকারীদের নিরাপদে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তারা জড়িত না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কীভাবে পুনর্বাসন করলেন?
ব্লুমবার্গের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তখন বাংলাদেশের এক শ্রেণির মিডিয়া সরকারকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিশুর হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা কি ঠিক হয়েছে? বিশ্বের অন্য কোথাও এমনটি ঘটলে সেই গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল হত। যেসব উন্নত দেশ বিবৃতি দিচ্ছে তাদের দেশে শিশু শোষণের ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ঠান্ডা মাথায় কাজ করেন। কিন্তু এ অপরাধের জন্য কি তারা কোনো ক্ষমা চেয়েছে? যে জঘন্য অপরাধ তারা করেছে তার শাস্তি তাদের পাওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।