মার্চ ২৬, ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম
স্বাধীনতা দিবসে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
রবিবার সকা্ল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের কাচারির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্থানীয় থানা পুলিশ দায়ি করছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে, ব্যানার ছিড়ে নিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করার জন্য পুলিশকে দায়ি করছেন স্থানীয় বিএনপি।
যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- ইমাম হাসান আবু চাঁন, আতাউর রহমান ফরিদ, আবু সিদ্দিক রুক্কু ও মো. শাহ আলম।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার বিষয়টি দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে সকাল থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সদরের ব্যস্ততম সড়ক কাচারি মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এতে করে সড়কটিতে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। ওইসময় পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। বার বার অনুরোধ করার পরও রাস্তা থেকে না সরে উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয় তারা। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়।”
ওসি বলেন, “এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন পুলিশ প্রথমে লাঠিপেটা করে এবং পরে চারটি শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
চারজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে দুর্গাপুর থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, “এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
তবে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিএনপি। দুর্গাপুর উপজেলা শাখা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল আলম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “কয়েকশ নেতাকর্মী শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ তর্ক-বিতর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে পুলিশ ব্যনার ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর লঠিচার্জ শুরু করে।“
দুর্গাপুর উপজেলা শাখা বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “পুলিশের লাঠিচার্জের কারণে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা আর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি। দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে সবাই ফিরে যেতে বাধ্য হয়।”