প্রেমকে পূর্ণতা দিতে জার্মানীর তরুণী গোপালগঞ্জে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম

প্রেমকে পূর্ণতা দিতে জার্মানীর তরুণী গোপালগঞ্জে

প্রেমকে পূর্ণতা দিতে সুদূর জার্মানি থেকে এক তরুণী চলে এসেছেন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে। তাঁর নাম জেনিফার স্ট্রায়ার্স (১৮)। জেলার কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরো গ্রামের ইতালিপ্রবাসী রবিউল ইসলামের ছেলে চয়ন ইসলামের (২২) ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জে আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এই জুটির মধ্যে বিয়েও সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জার্মান থেকে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন জেনিফার। বিমানবন্দরে চয়ন ইসলাম ও তাঁর স্বজনেরা তাঁকে স্বাগত জানান।

জানা যায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সড়কপথে গোপালগঞ্জে এসে শহরের মডেল স্কুল রোডে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। এ সময় জার্মান তরুণীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন চয়নের মা ঝর্ণা বেগম। খবর পেয়ে এই জুটিকে দেখতে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে ভিড় করেন।

জেনিফার স্ট্রায়ার্সের দুই বোন, বাবা জোসেফ স্ট্রয়ার্স ও মা ইসাবেলা স্ট্রায়ার্স জার্মানির বাইলেফেল্ডে বসবাস করেন। বোনদের মধ্যে দ্বিতীয় জেনিফার।

সম্পর্ক শুরুর বর্ণনা দিয়ে চয়ন বলেন, পাঁচ বছর আগে জার্মানিতে ভাষা শিক্ষার একটি কোর্স করার সময় তাঁর সাথে জেনিফারের পরিচয় হয়। সেখান থেকে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাঁদের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। ২০২২ সালের ১০ মার্চ তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তাঁদের মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হতো। সম্প্রতি জেনিফার বাংলাদেশে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে দুজনের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি।

জেনিফার বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ। জেনিফার বলেন, শাশুড়ি, ননদসহ আত্মীয়রা তাঁকে যেভাবে কাছে টেনে নিয়েছেন, তা কল্পনাতীত। এসব তাঁর বাবা-মাকে জানিয়েছেন। তাঁরাও খুব খুশি হয়েছেন।

ছেলের বউকে খুব পছন্দ হয়েছে জেনিফারের শাশুড়ি ঝর্ণা বেগমের। তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে জেনিফার আমাদের আপন করে নিয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ওকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাব।

Link copied!