সাত বছর আগে প্রেমঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাবু মিয়া (২০) নামে এক যুবককে। হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বাপ্পী প্রামাণিক ও আল আমিন নামে দুই যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর এলাকার গোলাপ সর্দারের ছেলে আল আমিন সর্দার এবং একই উপজেলার চাপাইগাছি এলাকার আজিম প্রামাণিকের ছেলে বাপ্পি প্রামাণিক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাবু মিয়া বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে চাপাইগাছি এলাকায় একটি কলাবাগানের মধ্যে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। সাবুর পরিবারের লোকজন মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ সাবুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত সাবু মিয়ের বাবা স্বপন মন্ডল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। প্রেমঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে সাবু মিয়াকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আসামিরা।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল হাশেম। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ৩০ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার আদালত এ রায় দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।