অর্থপাচারে অভিযুক্ত বিদেশে পালাতক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ব্যবসায়িক অংশীদার ও অন্যতম সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
রবিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টায় তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে কাশিমপুর কারাগার থেকে অবন্তিকা বড়ালের তিন দিনের রিমান্ডে নিজেদের হেফাজতে নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি অবন্তিকা বড়ালকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি টিম। গ্রেপ্তারের পরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
অবন্তিকা বড়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের অর্থপাচার ও প্রতারণার মামলায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি অবন্তিকাকে নামে বেনামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান বানিয়ে পিকে হালদার হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকশো কোটি টাকা।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর অবন্তিকা বড়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিলো দুদক। সেই তলবি নোটিশের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে আসা দূরে থাক, কোনো জবাবই দেননি পিকে হালদারের এই ব্যবসায়িক সহযোগী।
গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
দুদক এখন পর্যন্ত পিকে হালদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৬২ জনকে শনাক্ত করেছে। আরো ৮৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানা যায়। ইতোমধ্যে পিকে হালদারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে ও তার সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
পিকের অবর্তমানে দেশে তার ব্যবসা বাণিজ্য সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন অবন্তিকা এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে মামলার অভিযোগে।