মার্চ ৩০, ২০২৩, ০১:৩৯ পিএম
ঈদুল ফিতরের দিন এবং আগে ও পরে তিনদিন করে মোট সাতদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও ঈদের আগে ৫ দিন এবং ঈদের পরের ৫ দিন অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল সবধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত ‘ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের যাত্রীসেবা নিয়ে বৈঠক করেছি। আমাদের ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল। ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন (ঈদের দিনসহ সাতদিন) পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, আমাদের বন্দরগুলোতে যাত্রীসেবার জন্য যে ওয়াশরুম সুবিধা আছে, সেগুলোর মান আরও বাড়াতে হবে। আরিচা, কাজিরহাট, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ায় আমরা ফেরি সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। হরিনা ও আলুবাজারেও ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় এলাকায় সি ট্রাক চালু থাকবে। তাজউদ্দিন ও আইভি রহমান সেখানে নিয়মিত চলাচল করবে। কাজেই পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে নৌসেবাটা নিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ঈদের সময় লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। ঈদের সময় লঞ্চে সেই নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হয়। বছরের অন্য সময় কম ভাড়া নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আরও আধুনিক মানের লঞ্চ সংযুক্ত হচ্ছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনেকে আশঙ্কা করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। কিন্তু কথাটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নৌপথে চলাচলের আগ্রহটা এখনো কমে যায়নি। আগ্রহ আরও বাড়ছে। সে কারণে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি, তারা ছুটিগুলো পর্যায়ক্রমে দেয়, যাতে নৌপথে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। অতীতে তারা যেভাবে ছুটি দিয়েছে, এবারও তারা যেন সেটি করে। আমাদের নৌপথই কেবল না, রেল ও সড়কপথেও তাতে চাপ কম পড়বে।’
এ বছর ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল।