বঙ্গবন্ধুর চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৭, ২০২১, ১২:১৫ এএম

বঙ্গবন্ধুর চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য শহীদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত খুনী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৪ জনের খেতাব বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২ তম সভার আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবিবার (৬জুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 
যার যার খেতাব বাতিল হলো

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ ( ২০০২ সানের ৮ নং আইন) এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা দ্বার Riles of Business 1996 এর Schedule-1 (Allocation of Business) এর তালিকা ৪১ এর ৫ নং ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২ তম সভার ১১.৩ নং আলোচ্যসূচীর সিদ্ধান্তের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লেঃ কর্ণেল শরিফুল হক ডালিমের বীর উত্তম, লেঃ কর্ণেল এস এইচ এম এইচ বি নুর চৌধুরীর বীর বিক্রম, লেঃ এ এম রাশেদ চৌধুরীর বীর প্রতীক ও নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খানের বীর প্রতীক খেতাব বাতিল হয়েছে। 

আগেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ ছিল

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের খেতাব আরও আগে বাতিল হওয়ার দরকার ছিল বলে জানায় বিশিষ্টজনেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দ্য রিপোর্টকে বলেন, খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত আরও আগে নেয়া উচিৎ ছিল। বিশেষ করে তাদের ফাঁসির রায় যখন দেয় তখনই সেটা বাতিলের দরকার ছিল। যে কোন মানুষের হত্যাকারীরই খেতাব থাকা উচিৎ নয় সেই ক্ষেত্রে জাতির জনকের হত্যাকারীর খেতাব এতদিন কিভাবে থাকে। তবে বিলম্ব হলেও বাস্তবায়িত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।

নেপথ্যের খলনায়কদের উন্মোচনের দাবি

খেতাব বাতিল মামুলী বিষয় উল্লেখ করে ঘাতক দালার নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির দ্য রিপোর্টকে বলেন, যে কোন সাধারণ হত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল করা যায়। কিন্তু জাতির জনককে হত্যা মানে একটি সংবিধান ও জাতিকে হত্যা করার সামিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে ২০০৯ সালে ফাঁসির রায় চূড়ান্ত হলে তখন একটি কমিশন কঠন করার কথা ছিল। যে কমিশন এই আত্মস্বীকৃত খুনিদের নেপথ্যের খলনায়কদের জাতির সামনে উন্মোচন করবে। কিন্তু সেই কমিশন এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।

১৯৯৮ সালে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়

১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর এই চারজনসহ মোট ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন ঢাকার দায়রা জজ আদালত। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ রায় চূড়ান্ত করেন।

তাদের অবস্থান কোথায়?

বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পলাতক খুনি শরিফুল হক ডালিমের পাকিস্তান, কেনিয়া ও লিবিয়ায় অবস্থানের অসমর্থিত তথ্য এত দিন পেয়ে আসছিল সরকার। তবে সর্বশেষ স্পেনে তার অবস্থান সম্পর্কে সরকার নিশ্চিত হয়েছে। এ ছাড়া নূর চৌধুরী কানাডায়, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং মোসলেম উদ্দিন ভারতে গ্রেফতার হয়েছে বলে বলে জানা গেছে।

Link copied!