আজ (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবস। পঞ্চমবারের মতো সারা দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ভোটার হব নিয়ম মেনে, ভোট দিব যোগ্যজনে’।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় নির্বাচন ভবনের সামনের চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে ভোটার দিবস উদযাপন কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। র্যালি শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২২ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করেন।
দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। মোট ভোটার বেড়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ অর্থাৎ ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন। দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৭৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৩৭ জন।
এদিকে বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ভোটার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ভোটার দিবসে দক্ষতা ও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের তিন জন চৌকস কর্মকর্তাকে জাতীয় নির্বাচনী পদক প্রদান করা হবে।
ঢাকাসহ আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা বা থানা পর্যায়ে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে মাঠপর্যায়ের কার্যালয়সহ র্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পদযাত্রায় নতুন একটি সংযোজন হচ্ছে জাতীয় ভোটার দিবস। ২০১৩ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন বিষয়ক সংগঠন ফেমবোসার (FEMBOSA) চতুর্থ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদস্য দেশগুলো জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এরপরই মূলত জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস উদযাপনের একটি প্রস্তাব কমিশন সভায় উপস্থাপন করে। কমিশন প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেন এবং নীতিগতভাবে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়।