বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকায় সফরকালে নিখুঁত ও চমৎকার আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার (৫ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
নরেন্দ্র মোদি চিঠিতে উল্লেখ করেন, সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা ও মত বিনিময়ে তিনি আনন্দিত।
অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৬ মার্চ সকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন নরেন্দ্র মোদি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা পৌঁছানোর পর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
পরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেওয়া ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকবে। এমন কোনো শক্তি নাই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারে।
এরপর ২৭ মার্চ সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। সেদিন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা-প্রার্থনা করেন নরেন্দ্র মোদি।
বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
পরে যৌথভাবে দুই সরকারপ্রধান ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী রেল চলাচলসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের। সফর শেষে ২৭ মার্চ রাতেই একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন নরেন্দ্র মোদি।