কিশোরগঞ্জের ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাড়িতে থাকা বাক্সে মাদক থাকতে পারে সন্দেহে নিজ হাতে একটি বাক্স খোলেন। বাক্স খুলতেই সাপের ফণা দেখেই সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসেন ওসি।পরে বিশেষ কৌশলে সাপটিকে বাক্সবন্দী করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সাপ উদ্ধারের এমন খবর পেয়ে ঢাকার বন অধিদফতরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
নিয়মিত অভিযান চলছিল
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সাপ পাচারের অভিযোগে ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাসুদ সাভারের আশুলিয়ার খেজুরটুক গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলা জগন্নাপুর এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ প্রায় অভিযান চালায়। মঙ্গলবারও তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছিল। একটি গাড়ি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। কারণ, গাড়িতে গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। গাড়িটি থামানোর পর বাক্সে কী আছে, চালকের কাছে জানতে চাইলে চালক কিছু বলতে পারেননি। তাই সন্দেহ আরও বাড়ে। এ সময় ওসি মোজাম্মেল হোসেন একটি বাক্স খুলে দেখতে যান। বাক্স খুলতেই ওসির দিকে ফণা তুলে একটি সাপ। এ ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে চালক মাসুদ রানাকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
সাতটি সাপ উদ্ধার
ঢাকার বন অধিদফতরের সরীসৃপবিদ মো. সোহেল রানা জানান, সাতটি বাক্সের মধ্যে চারটিতে খৈয়া গোখরা সাপ রয়েছে। সাপগুলো বিষধর। এগুলো জঙ্গলে থাকে। এই সাপের কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে। অপর তিনটির মধ্যে দুটি দাঁড়াশ, একটি পদ্ম গোখরা সাপ রয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সাপগুলো পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বন্য প্রাণী হত্যা, নিজ হেফাজতে রাখা বা বন্য প্রাণী দিয়ে খেলা দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। গতকালই চালককে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।