শালিস করতে গিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে: সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৯, ২০২১, ১২:৫৫ এএম

শালিস করতে গিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে: সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ের চেষ্টার বিচার করতে এসে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করে ফেলেন সেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে পরদিন সকালেই কাজী ডেকে তালাক নিয়ে নেন তিনি। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হল না পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের। সোমবার (২৮ জুন) এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে এই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তার পদ থেকে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে . . . এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় তাকে (মো. শাহিন হাওলাদার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়।

শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়, ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে থাকা জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ বলছে, মেয়েটির জন্ম ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল। বিয়ের পর মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। তবে বাড়িতে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না।

এদিকে বিয়ের পরদিনই (২৬ জুন) এই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরত আসে সেই কিশোরী।

Link copied!