পদত্যাগ করায় বিএনপির সংসদ সদস্যদের ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। শূন্য ঘোষিত আসনগুলো হলো— ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া–৬ এবং রুমিন ফারহানার সংরক্ষিত নারী আসন।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে আলাদা ছয়টি গেজেট প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত আলাদা ছয়টি গেজেটে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, মো. মোশাররফ হোসেন, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, জাহিদুর রহমান এবং রুমিন ফারহানা রোববার পদত্যাগ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের চাপাইনবাবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, বগুড়া-৪, বগুড়া–৬, ঠাকুরগাঁও-৩ এবং ৩৫০ মহিলা আসনটি উক্ত তারিখে শূন্য হয়েছে।’
এর আগে রোববার বেলা ১১টার পর সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য। দলটির আরও দুজন সংসদ সদস্য সশরীরে না আসায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগে তা সাংবাদিকদের পড়ে শোনান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে চরম স্বৈরশাসন চলছে। বর্তমান সরকারের গণতন্ত্র ও গণবিরোধী কার্যকলাপে গণতন্ত্রহীনতা, বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর দমন-পীড়ন, গণগ্রেপ্তার, গুম, হত্যা এবং মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ, সর্বোপরি মহান জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে জনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী এই সংসদের সদস্যপদ ত্যাগ করে এই সংসদ বাতিলের গণদাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে, স্থির মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচণায় গভীরভাবে চিন্তা ও বিবেচনার পর অদ্য ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সংসদ থেকে যার যার আসন থেকে পদত্যাগ করলাম।’
এ দিন সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেন-- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
এ ছাড়া দেশে বাইরে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন রুমিন ফারহানা। তবে, সশরীরে না আসায় হারুন অর রশিদ এবং আবদুস সাত্তারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ হয়নি। পরে তারা সশরীরে এসে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।