ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনার মামলায় ভবনমালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। রানার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর আপিল বিভাগের এই আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী।
রবিবার (৯ এপ্রিল) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুনের আপিলে এ রায় দেওয়া হয়।
গত ৬ এপ্রিল বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় ভবনের মালিক সোহেল রানা জামিন পান। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে ২০২২ সালে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন সোহেল রানা। এর শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে অবহেলাজনিত মৃত্যু চিহ্নিত হত্যা মামলাটি করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অপর মামলাটি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভারের রানা প্লাজা (১০ তলা ভবন) ধসে পড়ে এক হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ২৯ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে সোহেল রানাকে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।