রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফশিল বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ তথ্য জানান।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে বিকাল ৩টায় সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমাদের সাক্ষাৎকার সংক্ষিপ্ত ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- বুধবার সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে সভা করব। সভা করে আমরা তফশিলটা উন্মুক্ত করব। তখন আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।” এসময় তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন অনুযায়ী তফশিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ করতে হয়।
সংবিধানের অনুযায়ি মেয়াদ শেষের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। এবার ২৩ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফশিল হয়। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন। আগামী ২৩ এপ্রিল তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ।
এর আগে, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২২ এপ্রিল তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।
সংবিধান অনুযায়ী দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তৃতীয় মেয়াদে আর এ পদে প্রার্থী হতে পারে না।