শরণার্থীর যোগ্য নন, ফিরিয়ে দিতে রাজী মালয়েশিয়া

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৬:৪৩ পিএম

শরণার্থীর যোগ্য নন, ফিরিয়ে দিতে রাজী মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মালিয়েশিয়া সরকার তাকে ফিরিয়ে দিতে রাজী বলেও তিনি জানান।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নন। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।”

আরও পড়ুন: খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাঠানো যাবে না: ইউএসএইচসিআর

শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “তিনি সবল ও সামর্থ্যবান ব্যক্তি। এ অবস্থায় কেউ শরণার্থী হলে, তাহলে তো সব অপরাধী বিদেশে গিয়ে শরণার্থী হয়ে যাবেন। তাকে ফেরাতে প্রয়োজন হলে আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মালয়েশিয়া সরকার তাকে ফিরিয়ে দিতে রাজি। মালয়েশিয়া বলেনি যে, তাকে ফেরানো যাবে না। এছাড়া, মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারব বলে আশাবাদী।”

খায়রুজ্জামানকে ছাড়াতে তার স্ত্রী আইনজীবী নিয়োগ করেছেন জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, “ সাধারণত একজন খুনিকে রক্ষা করতেও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। তবে, মালয়েশিয়া সরকার নিশ্চয়ই আইন অনুযায়ী কাজ করবে।”

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের পর পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন এম খায়রুজ্জামান। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করে। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তাকে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার চাকরি বাতিল করে তাকে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়। তবে, তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।

Link copied!